ইসরায়েল ফিলিস্তিন সংঘাত সোমবার ২৪তম দিনে গড়িয়েছে। এ কয় দিনে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ৮ হাজার ৩০৬ জন। তাঁদের মধ্যে ৩ হাজার ৪৫৭ জনই শিশু। বিদ্যুৎ, পানি, জ্বালানি, খাবার ও চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাবে ভীষণ রকমের মানবেতর দিন পার করছেন অবরুদ্ধ উপত্যকাটির বাসিন্দারা।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের অতর্কিত হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা আন্দোলনের সশস্ত্র বাহিনী হামাস। হামলায় ইসরায়েলে ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। সেদিন থেকেই হামাসকে ‘নির্মূল’ করতে গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। সম্প্রতি উপত্যকাটিতে স্থল অভিযানও শুরু করেছে তারা।
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের হালনাগাদ তথ্যগুলো:
যুদ্ধবিরতিতে নেতানিয়াহু–যুক্তরাষ্ট্রের ‘না’
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, গাজায় যুদ্ধবিরতিতে যাবে না তাঁর দেশ। এমন কোনো পদক্ষেপ হবে হামাসের কাছে ‘আত্মসমর্পণ’ করার মতো। যুদ্ধবিরতির বিপক্ষে গিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রও। দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, ‘আমরা মনে করি না, বর্তমান সময়ে যুদ্ধবিরতি যথাযথ পদক্ষেপ হবে।’
ত্রাণ সরবরাহে ‘ব্যর্থতা’
জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ সতর্ক করে বলেছে, গাজায় বর্তমানে যে ‘নজিরবিহীন মানবিক সহায়তার প্রয়োজন’ তার তুলনায় কম ত্রাণ উপত্যকাটিতে প্রবেশ করছে। সংস্থাটির প্রধান ফিলিপ্পে লাজারিনির কথায়, ‘গাজায় যে পদ্ধতিতে ত্রাণ পাঠানো হচ্ছে তা ব্যর্থতার দিকে যাবে, যদি না উপত্যকাটির নজিরবিহীন মানবিক প্রয়োজনীয়তার সঙ্গে মিল রেখে অর্থপূর্ণভাবে ত্রাণ সরবরাহ করা যায়।’
জিম্মি হওয়া ইসরায়েলি সেনা উদ্ধার
হামাসের হাতে জিম্মি এক ইসরায়েলি সেনা সদস্যকে উদ্ধারের দাবি করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। গাজায় স্থল অভিযান চালিয়ে তাঁকে মুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা। ওই সেনা সদস্যের নাম ওরি মেগিদিশ। নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে পরিবারের সঙ্গে তাঁর একটি ছবি প্রকাশ করা হয়েছে।
এদিকে আরও তিন জিম্মি নারীকে মুক্তি দেওয়ার একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে হামাস। ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলার দিন ওই জিম্মিদের আটক করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়। ইসরায়েলের দাবি, হামাস ইসরায়েল থেকে মোট ২৩৯ জনকে জিম্মিকে করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রকে দোষারোপ পুতিনের
মধ্যপ্রাচ্যে ‘মারাত্মক বিশৃঙ্খলা’ ছড়িয়ে পড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এর জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করেছেন তিনি। টেলিভিশনে দেওয়া এক বক্তব্যে পুতিন বলেন, ‘মারাত্মক বিশৃঙ্খলা কে সংঘটিত করছে এবং এ থেকে আজ কে সুবিধা পাচ্ছে? আমার মতে, এটা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে, এ জন্য দায়ী যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতাসীন অভিজাতরা।’
সিরিয়া ও লেবাননে হামলা
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, সিরিয়া থেকে ছোড়া রকেটের জবাবে তারা দেশটির সামরিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। অপরদিকে লেবাননে ইরানপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, তারা ইসরায়েলের একটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। ইসরায়েলের হামলার কথা জানিয়েছে হামাসও।
Leave a Reply