শীতে নবজাতকের যত্নে করণীয় ও পরিচর্যা

শীতে নবজাতকের যত্নে করণীয় ও পরিচর্যা

শীতকালীন সময়ের ঠাণ্ডা এবং শুষ্ক আবহাওয়ার দরুন নবজাতক শিশুর জন্য বিশেষ যত্ন ও পরিচর্যার ব্যবস্থা গ্রহণ করা আবশ্যক। কিন্তু অনেক মা আছেন যারা তাদের শিশুর জন্য কি ধরনের পরিচর্যা গ্রহণ করবেন সেটি বুঝতে পারেন না।

আর তাই এই অনুচ্ছেদে আমরা আলোচনা করবো শীতকালীন সময়ে নবজাতক শিশুর যত্ন নেওয়ার সবচেয়ে উত্তম উপায় সমূহ নিয়ে। এছাড়াও শীতকালে শিশুর ত্বকের কি কি সমস্যা হতে পারে এবং সেই সমস্ত সমস্যা সমাধানের ঘরোয়া উপায় সহ কোন পরিস্থিতিতে শিশু রোগ বিশেষজ্ঞের (Pediatrician) শরণাপন্ন হওয়া উচিত সেই বিষয়ক বিশেষ নির্দেশনা সমূহ জানতে অনুচ্ছেদটি শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।

শীতে নবজাতকের যত্নে করণীয় ও পরিচর্যা

নবজাতক (Newborn) বলতে মূলত জন্ম থেকে ২ মাস পর্যন্ত বয়সের বাচ্চাদেরকে বোঝানো হয়। তবে এই পর্যায়ে নবজাতক ছাড়াও ৪ বছর বয়স পর্যন্ত শিশু (child) বাচ্চাদের যত্ন ও পরিচর্যা বিষয়ক ৬ টি টিপস নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।

✓ পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা মেনে চলুন

বাচ্চার মা হিসেবে আপনি যত বেশি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকবেন আপনার বাচ্চার ক্ষেত্রে সহজেই রোগাক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ততটাই কমে যাবে। বাইরে থেকে ঘরে প্রবেশের পর অথবা প্রাত্যহিক কাজ কর্ম শেষ করে ভালোভাবে হাত ধুয়ে তারপর বাচ্চাকে কোলে নিন।

বাচ্চাকে বুকের দুধ পান করান

একটি শিশু বাচ্চার শরীরের জন্য যত ধরনের পুষ্টিগুণ প্রয়োজন তার সবটাই রয়েছে মায়ের দুধের মধ্যে এমনকি শিশুর জন্য মায়ের বুকের দুধের চেয়ে শ্রেষ্ঠতম খাবার আর কিছু নেই। তাই বাচ্চাকে নূন্যতম ছয়মাস পর্যন্ত বুকের দুধ পান করানো উচিত। এই সময়ে বাচ্চাকে অন্য কোনো খাবার দেওয়ার প্রয়োজন নেই যদি বাচ্চা পর্যাপ্ত দুধ পেয়ে থাকে। তবে ছয়মাস পর থেকে বুকের দুধের পাশাপাশি অন্যান্য খাবার দিতে হবে।

ভারী কম্বল দেওয়া যাবে না

শীতের হাত থেকে সুরক্ষার জন্য রাতের বেলায় অবশ্যই লেপ বা কম্বল ব্যবহার করতে হবে। তবে খুব বেশি ভারী কম্বল ব্যবহার করা যাবে না যেন বাচ্চার জন্য তা কষ্টকর হয়ে পড়ে। বরং বাচ্চা যেন সহজেই নড়াচড়া করতে পারে সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে।

সময়মতো ভ্যাকসিন নিতে হবে

শিশুদের ক্ষেত্রে বিভিন্ন রোগের হাত থেকে রক্ষার জন্য প্রতিরোধ মুলক ব্যবস্থা হিসেবে রয়েছে টিকা (Vaccine) কার্যক্রম যা সরকারি ভাবে ফ্রিতে দেওয়া হয়ে থাকে। একজন সচেতন মা/বাবা হিসেবে শিশুর জন্য সময়মতো ভ্যাকসিন গ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।

ঘরের পরিবেশ বাচ্চার অনুকূলে রাখতে হবে

বাচ্চার ঘরের পরিবেশ যেন আর্দ্র ও স্যাঁতস্যাঁতে না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। অন্যথায় আর্দ্র ও স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশে বাচ্চার শরীরে বিভিন্ন ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ফাংগাস, পরজীবী ইত্যাদির সংক্রমণ হতে পারে। সেই সাথে শীতকালে ঘরের তাপমাত্রা উষ্ণ রাখতে রুম হিটার ব্যবহার করা যেতে পারে।

✓ শীতে শিশুর খাবার

নবজাতক শিশুর জন্য মায়ের বুকের দুধই যথেষ্ট তবে দুধ পর্যাপ্ত না পেলে সেক্ষেত্রে বিভিন্ন ফর্মুলা দুধ অথবা গরুর দুধ খাওয়ানো যেতে পারে তবে অবশ্যই তা ডাক্তারের পরামর্শে। এক্ষেত্রে দুধ ঈষৎ উষ্ণ করে খাওয়ানো উচিত এবং তা অবশ্যই যেনো স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে প্রস্তুত করা হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

ছয় মাসের বেশি বয়সী বাচ্চাদের জন্য বিভিন্ন ফলমূল ও শাকসবজি বেশি করে খাওয়াতে হবে। বিশেষ করে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার যেমন লেবু, মাল্টা, আঙ্গুর, কমলা, স্ট্রবেরি, লিচু, আমড়া ইত্যাদি খেতে দিতে হবে যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং ইনফেকশন প্রতিরোধে সহায়তা করে। সেই সাথে বিভিন্ন ফুড সাপ্লিমেন্ট এবং মাল্টিভিটামিন (Multivitamins) খাওয়ানো যেতে পারে তবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই একজন শিশু রোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত।

বাচ্চাদের যত্ন কিভাবে নিতে হয়? 

গর্ভকালীন সময়ের ২৭ সপ্তাহ পর (Last trimester) নবজাতক শিশুর ত্বকের উপরিভাগে একটি পাতলা পর্দা তৈরি হয় যা জন্ম গ্রহণের পরেও ত্বকের উপরে সাদা মোমের মতো দেখতে পাওয়া যায়। এটিকে মেডিকেলের ভাষায় Vernix Caseosa বলা হয়। জন্ম গ্রহণের পর এটিকে ঘসে তুলে ফেলা উচিত কিনা সেই বিষয়ে অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগতে পারে।

প্রকৃতপক্ষে Vernix Caseosa পর্দাটি জরায়ুর মধ্যে গর্ভস্থ বাচ্চার ত্বকের সুরক্ষা দেয়। বাচ্চা জন্ম গ্রহণের পরেও এটি ত্বকের সুরক্ষায় ভূমিকা রাখতে পারে আর তাই এটিকে ঘসে তুলে ফেলা উচিত নয়। তবে এটি আপনাআপনি একসময়ে (সর্বোচ্চ ১ সপ্তাহের মধ্যে) উঠে যায়।

নবজাতক শিশুকে প্রথম কখন গোসল করাতে হবে?

এটিও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সাধারণত বাচ্চা জন্ম গ্রহণের নূন্যতম ২৪ ঘন্টা সময় পর গোসল করানো উত্তম। তবে সর্বনিম্ন ছয় ঘন্টা পরেই গোসল করানো অথবা হালকাভাবে গা মুছে দেওয়া যেতে পারে। গোসলের সময় কুসুম গরম পানি ব্যবহার করতে হবে। তবে বেশি গরম পানি ব্যবহার করা যাবে না। কারণ তাতে বাচ্চার ত্বক রুক্ষ হয়ে যাবে এমনকি খুব বেশি গরম হলে পুড়ে যেতে পারে।

আরো পড়ুন: গর্ভপাত কি? গর্ভপাতের কারণ ও লক্ষণ এবং গর্ভপাতের চিকিৎসা

শীতে বাচ্চাদের ত্বক কেমন হয়?

বাচ্চাদের ত্বক বড়দের তুলনায় অনেক বেশি সংবেদনশীল থাকে যার ফলে আঘাত, শুষ্কতা অথবা অন্য যেকোনো প্রভাবকের দ্বারা সহজেই ত্বক ক্ষতিগ্রস্থ হয়। শীতকালে বড়দের ত্বকে যেমন শুষ্কতা দেখা দেয় তেমনি ভাবে আপনার ছোট্ট সোনামণির ত্বক শুষ্ক ও রুক্ষ প্রকৃতির হয়ে যেতে পারে।

ঠোঁট: শীতকালে সবচেয়ে বেশি শুষ্ক হয়ে যায় ঠোঁট যার ফলে বেশ অস্বস্তি বোধ হয়। নবজাতক শিশুদের ক্ষেত্রে বড়দের তুলনায় ঠোঁট বেশি শুষ্ক হতে পারে যদি বাচ্চার মুখ দিয়ে অতিরিক্ত লালা (Saliva) পড়ে। সাধারণত সব শিশুদের বেলায় লালা পড়ে যার মধ্যে থাকা হজমে সহায়ক এনজাইম গুলো (Amylase, maltase) ঠোঁট শুষ্ক করে ফলে ঠোঁট ফেটে যাওয়ার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এই সমস্যা সমাধানে করণীয় হলো বাচ্চার ঠোঁটে পেট্রোলিয়াম জেলি অথবা লিপ বাম (lip balm) ব্যবহার করা। এছাড়াও নবজাতক শিশুর ঠোঁটের সুরক্ষায় মায়ের বুকের দুধ ব্যবহার করা যেতে পারে।

উল্লেখ্য শিশু বাচ্চাদের মতো বড়দের ক্ষেত্রেও মুখের লালা ঠোঁট ফেটে যাওয়ার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। আর তাই ঠোঁট শুষ্ক মনে হলে জিহ্বা দিয়ে ঠোঁট ভেজানোর অভ্যাস পরিত্যাগ করুন। বরং সবসময় সাথে করে একটি পেট্রোলিয়াম জেলি রাখুন যেন ঠোঁট শুষ্ক মনে হলে ব্যবহার করতে পারেন।

গাল: শীতের প্রকোপে ছোট বাচ্চাদের গাল রুক্ষ হয়ে যায়। বিশেষ করে শীতকালে ঘরের বাইরে বের হলে বাচ্চার গাল অনাবৃত থাকে যার ফলে বাচ্চার গালের উপরিভাগের মসৃণতা কমে যায়। আর তাই বাচ্চাকে বাইরে নেওয়ার আগে বাচ্চার গালে অবশ্যই ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম লাগাতে হবে। এবং বাইরে থেকে ঘরে প্রবেশের পর প্রয়োজন সাপেক্ষে পুনরায় আবার ক্রিম ব্যবহার করা যেতে পারে।

ত্বক: শীতকালে বায়ুতে আর্দ্রতার পরিমাণ কম থাকে এবং ঠান্ডা বাতাস থাকে। যার ফলে ঠোঁট ও গালের মতো হাত পা সহ শরীরের অন্যান্য অংশের ত্বকের কোমলতা কমে গিয়ে খসখসে হয়ে যায়। শীতের প্রভাব থেকে রক্ষা পেতে এবং ত্বকের কোমলতা ধরে রাখতে বিভিন্ন ধরনের ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম বাজারে রয়েছে যা ব্যবহারের মাধ্যমে ত্বক ভালো থাকে। তবে কোন ধরনের ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম আপনার শিশুর জন্য ব্যবহার করা নিরাপদ হবে এবং কোন গুলো বর্জন করা উচিত সেই বিষয়ে জেনে নেওয়া জরুরি।

বাচ্চাদের ত্বকে কি ব্যবহার বর্জন করা উচিত?

বাচ্চার ত্বকের যত্নে এমন কোনো ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম ব্যবহার করা উচিত নয় যার মধ্যে ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান রয়েছে। এমন কিছু ব্যবহার করা হলে সেক্ষেত্রে বাচ্চার ত্বকের সুরক্ষা না হয়ে বরং ক্ষতি হবে। কিভাবে বুঝবেন কোনটি ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে?

সাধারণত যে সমস্ত ক্রিম অথবা লোশনের মধ্যে অতিরিক্ত সুগন্ধি ব্যবহার করা হয়েছে সেগুলো বর্জন করতে পারেন। কারণ সুগন্ধির জন্য কৃত্রিম যে সমস্ত উপাদান ব্যবহার করে এই সমস্ত ক্রিম তৈরি করা হয় তা ত্বকের জন্য ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে।

এছাড়াও বাচ্চাদের জন্য সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত নয়। বিশেষত ৬ মাসের কম বয়সী বাচ্চাদের জন্য সানস্ক্রিন ব্যবহারের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। তবে শীতকালীন রোদ অনেক সময় বেশ কড়া প্রকৃতির হয়ে থাকে যার মধ্যে থাকা Ultraviolet ray বাচ্চার জন্য ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। আর তাই শিশুকে বাইরে নেওয়ার আগে অবশ্যই পোশাক পরিয়ে ঢেকে নিতে হবে এবং কখনোই অতিরিক্ত রোদে রাখা যাবে না।

বাচ্চাদের ত্বকে কি ব্যবহার করা উচিত?

বাচ্চার ত্বকের সুরক্ষায় ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম হিসেবে পেট্রোলিয়াম জেলি, লোসন, গ্লিসারিন ইত্যাদি ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে এর মধ্যে যেনো কোনো ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। কোনটি ক্ষতিকর তা সাধারণ মানুষ হিসেবে নির্ণয় করা খুবই কঠিন বিষয় আর তাই একটি সহজ উপায় হলো পন্যের ব্রান্ড দেখে ক্রয় করা। সাধারণত ভালো মানের ব্র্যান্ড গুলো পন্য উৎপাদনের সময় এটি ব্যবহার করা নিরাপদ হবে কিনা সেই দিকে খেয়াল রাখে। এছাড়াও আরেকটি উপায় রয়েছে আর তা হলো প্রাকৃতিক উপাদান সামগ্রী ব্যবহার করা।

শীতে শিশুর ত্বকের যত্নের জন্য ঘরোয়া প্রতিকার

শীতে শিশুর ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপায় হিসেবে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের তেল ব্যবহার করা যা শতভাগ নিরাপদ। যেমন: খাঁটি সরিষার তেল, নারিকেল তেল, অলিভ অয়েল ইত্যাদি। তেল ব্যবহারের ফলে যেমন ত্বক ভালো থাকে তেমনি ভাবে তা বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগ প্রতিকারে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে। বিশেষত ফাংগাল ইনফেকশন (Fungul infection) দূর করতে নারিকেল তেল ও অলিভ অয়েল সহায়তা করে থাকে।

শীতে বাচ্চাদের ত্বক ভালো রাখতে সহজ উপায়ে কি করা যায়?

বাচ্চার ত্বক ভালো রাখতে সহজ ও কার্যকরী একটি উপায় হলো ম্যাসাজ করা যার মাধ্যমে শরীরের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায় এবং ত্বক আরো বেশি পুষ্টি পায়। সেই সাথে শরীরের স্নায়ুতন্ত্র উজ্জীবিত হয় যার ফলে নার্ভের (Nerve) কার্যক্রম ভালো হয়। শিশু বাচ্চার শরীরে ম্যাসাজ করতে হবে খুবই আলতো ভাবে আঙ্গুল ব্যবহার করে। সেই সাথে কিছু তেল মেখে নেওয়া যেতে পারে। গোসলের আগে ম্যাসাজ করানো হলে তাতে বাচ্চার শরীর কিছুটা গরম হয় যার ফলে গোসলের সময় বাচ্চার শরীরে কম শীত অনুভূত হবে।

শিশুর ত্বক ফর্সা করার উপায়

শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নূন্যতম ১ বছরের কম বয়সী বাচ্চাদের ক্ষেত্রে বড়দের জন্য ব্যবহৃত সাবান ব্যবহার করা উচিত নয়। কারণ তাতে এমন কিছু রাসায়নিক উপাদান রয়েছে যা বাচ্চার ত্বকের জন্য ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে। আর তাই এই সময়ে শিশুদের জন্য বিশেষভাবে তৈরিকৃত Mild shop ব্যবহার করতে হবে। এই নির্দেশনার সাথে আরো যে বিষয়টি সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যায় তা হলো বাচ্চাদের জন্য খুব বেশি কসমেটিকস সামগ্রী ব্যবহার করা ভালো নয়।

ত্বকের রং ফর্সা করার জন্য বাজারে অনেক কসমেটিকস সামগ্রী কিনতে পাওয়া যায়। তবে এগুলোর মধ্যে অনেক ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান রয়েছে যা শিশুসহ বড়দের জন্যও ক্ষতিকর হতে পারে। আর তাই ত্বক ফর্সা করে এমন কোনো ক্রিম বা ফর্মুলা বাচ্চাদের জন্য ব্যবহার করা উচিত নয়। বরং বাচ্চার ত্বকের রং যেমন রয়েছে তাতেই সন্তুষ্ট থাকা উচিত।

কখন ডাক্তারের শরনাপন্ন হওয়া উচিত?

বাচ্চার মুখ থেকে অতিরিক্ত লালা নিঃসরণ হলে সেটি যেমন ঠোঁট ফেটে যাওয়ার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে তেমনি ভাবে এটিকে একটি রোগ হিসেবে বিবেচনা করা হয় যাকে মেডিকেলের ভাষায় Hypersalivation বলা হয়। এই পরিস্থিতিতে সমাধান পেতে হলে একজন শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। এছাড়াও আরো যে সমস্ত ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত তা হলো:

  • ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম ব্যবহারের মাধ্যমে ত্বকের শুষ্কতা দূর না হলে
  • ত্বকে একজিমা, চুলকানি, ফাংগাল ইনফেকশন অথবা অন্য কোনো চর্মরোগ দেখা দিলে
  • প্রাকৃতিক অথবা রাসায়নিক কোনো উপাদান ত্বকে ব্যবহারের ফলে যদি এলার্জির সৃষ্টি হয়
  • যে কোনো ধরনের শারীরিক ও মানসিক রোগ বা অস্বাভাবিকতা

শীতকালে ছোট বড় সকলের ত্বকে কিছুটা পরিবর্তন তথা রুক্ষতা দেখা দিতে পারে। এর জন্য বিচলিত হওয়ার কিছু নেই বরং বাচ্চাকে নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার দেওয়া সহ নিরাপদ প্রকৃতির ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম ব্যবহার করতে থাকুন।