আজ শারজায় বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভের গ্রুপ ২–এর লড়াইয়ে মুজিব একাই ৫ উইকেট নিয়েছেন, তাঁর বোলিংয়ে স্কটিশরা অলআউট মাত্র ৬০ রানে। এতে আফগানরা তাদের প্রথম ম্যাচ জিতে নিলেন ১৩০ রানের বিরাট ব্যবধানে।
আফগানিস্তান-স্কটল্যান্ড
মাথায় বিশাল রান তাড়ার চাপ ছিল স্কটল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের ওপর। আফগানিস্তানের মূল দুই অস্ত্র মুজিব উর রহমান আর রশিদ খানকে দেখেশুনে খেলে বাকি বোলারদের যে আক্রমণ করবে, সে সুযোগও তাই ছিল না। ১৯০ রান তাড়া করতে হলে যে সব বোলারের ওপরই চড়াও হতে হবে। স্কটিশরা অবশ্য সেই চেষ্টায় আজ বাজেভাবেই ব্যর্থ হয়েছে।
ব্যর্থ হয়েছেন মুজির উর রেহমানের কারণে। আজ শারজায় বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভের গ্রুপ ২–এর লড়াইয়ে মুজিব একাই ৫ উইকেট নিয়েছেন, তাঁর বোলিংয়ে স্কটিশরা অলআউট মাত্র ৬০ রানে। এতে আফগানরা তাদের প্রথম ম্যাচ জিতে নিলেন ১৩০ রানের বিরাট ব্যবধানে। প্রত্যাশিতভাবেই ম্যাচসেরার পুরস্কারটা পেয়েছেন মুজিবই।
ব্যাটিং পাওয়ারপ্লেতে তিন উইকেট বা তার চেয়ে বেশি উইকেট হারালে ম্যাচ জেতার সম্ভাবনা ৭০ ভাগ কমে যায়। সেখানে আজ স্কটিশরা পাওয়ার প্লেতেই হারিয়েছে ৫ উইকেট! যার ৪টিই নিয়েছেন মুজিব। অথচ ১৯০ রানের পেছনে ছুটতে গিয়ে প্রথম ৩ ওভারে ২৮ রানে করে ফেলে স্কটিশরা।
এরপর চতুর্থ ওভারে এসে ভোজবাজির মতো পাশার দান পাল্টে দেন মুজিব। পরপর দুই বলে কাইল কয়েটজার ও কালাম ম্যাকলডকে আউট করেন তিনি। একই ওভারের পঞ্চম বলে রিচি বেরিংটনও আউট হন। পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে এসে ছন্দে থাকা ওপেনার জর্জ মানসেকে বোল্ড করেন মুজিব।
মুহূর্তের মধ্যেই ওপরের সারির ৪ ব্যাটসম্যানের বিদায়ে ভেঙে পড়ে স্কটল্যান্ডের ব্যাটিং অর্ডার। সেই ভাঙা ঘর আর জোড়া লাগেনি। নিজের স্পেলের শেষ ওভারে এসে আরও একটি উইকেট নিয়ে ক্যারিয়ারের প্রথম পাঁচ উইকেট শিকার করেন মুজিব। আর তাতে বিশ্বকাপে খেলা নিজের প্রথম ম্যাচেই ম্যাচসেরার পুরস্কারও জিতে নেন তিনি।