ব্যক্তিগত মহাকাশ স্টেশন তৈরির পথে বেজোস

ব্যক্তিগত মহাকাশ স্টেশন তৈরির পথে বেজোস

Spread the love

মহাকাশ বাণিজ্য নিয়ে প্রতিযোগিতা তীব্র হচ্ছে।
এর মধ্যেই মার্কিন ধনকুবের জেফ বেজোসের মহাকাশ পর্যটন সংস্থা ব্লু অরিজিন নতুন খবর দিল।
গত সোমবার ব্লু অরিজিন ঘোষণা দিয়েছে, তারা মহাকাশে একটি মহাকাশ স্টেশন উৎক্ষেপণ করতে চায়।
এ দশকের দ্বিতীয়ার্ধে এ লক্ষ্য পূরণের পরিকল্পনা তাদের। এ মহাকাশ স্টেশনে ১০ জনের বেশি থাকতে পারবেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে তৈরি করা এই মহাকাশ স্টেশনের নাম হবে অরবিটাল রিফ।
এটি ব্যবসায়িক পার্ক হিসেবেও ব্যবহার করা যাবে।
এ ছাড়া মাইক্রোগ্র্যাভিটি গবেষণা ও উৎপাদনে এটি সমর্থন দেবে।
ব্লু অরিজিন এটি তৈরি করবে আরেক মহাকাশ সংস্থা সিয়েরা স্পেসের সঙ্গে যৌথভাবে।
এতে সমর্থন দেবে উড়োজাহাজ নির্মাতা বোয়িং ও অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটি।

ব্লু অরিজিনের নির্বাহী ব্রেন্ট শেরউড বলেন, ‘৬০ বছরের বেশি সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসা ও অন্য  সংস্থাগুলো মহাকাশযান ও আবাস গড়ে তুলেছে। এই দশকে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে  ভ্রমণের জন্য আমাদের পথ তৈরি করে দিয়েছে।’

শেরউড আরও বলেন, ‘আমাদের সেবা বৃদ্ধি করব।
খরচ কমিয়ে আনব। মহাকাশযাত্রা স্বাভাবিক করার জন্য প্রয়োজনীয় সব পরিষেবা এবং সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা হবে।’

ব্লু অরিজিনের তথ্য অনুযায়ী, তাদের অরবিটাল রিফ ৫০০ কিলোমিটার উচ্চতায় উড়বে, যা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে সামান্য ওপরে।
সেখানে বসবাসকারী নভোচারীরা দিনে ৩২ বার সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন।
৮৩০ ঘনমিটার আয়তনের এই মহাকাশ স্টেশন আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের চেয়ে খানিকটা ছোট।
আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের নির্মাণকাজ শেষ হয় ২০১১ সালে এবং এটি দীর্ঘদিন যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মহাকাশ সহযোগিতার নিদর্শন হয়ে রয়েছে।
এটি ২০১৮ সাল পর্যন্ত নিরাপদ বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর আগেই নাসা বাণিজ্যিকভাবে এই খাতকে জনপ্রিয় করতে চাইছে।

ব্লু অরিজিন তাদের নিউ শেপার্ড নামের রকেটের মাধ্যমে ইতিমধ্যে মহাকাশ পর্যটনে সফল হয়েছে।
অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহে স্টার ট্রেক তারকা ৯০ বছর বয়সী উইলিয়াম শ্যাটনারকে মহাকাশের প্রান্ত ঘুরিয়ে এনেছে বেজোসের প্রতিষ্ঠান।

No oughts on ব্যক্তিগত মহাকাশ স্টেশন তৈরির পথে বেজোস

Leave A Comment