শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে ‘প্রয়োজন ছাড়া’ নগরবাসীকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যেতে বারণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ছাত্রসংগঠনগুলো৷ ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগ ক্যাম্পাস উন্মুক্ত রাখা ও একাডেমিক পরিবেশ-দুয়ের সমন্বয় চায়৷ ছাত্রদল বলছে, বহিরাগতদের কিছুটা নিরুৎসাহিত করা হলে বিষয়টি ‘খারাপ হবে না’৷ ক্যাম্পাসে ভিড় কামাতে ছাত্র ইউনিয়ন বলছে বিকল্প ব্যবস্থার কথা৷
রাজধানী ঢাকা শহরের কেন্দ্রস্থলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। নানা উৎসব-উদ্যাপন ছাড়াও প্রতিদিনই এ ক্যাম্পাসে গিয়ে কিছুটা অবসর কাটান বহু মানুষ। বিকেল-সন্ধ্যার অবসরে পুরোনো বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডার স্থান হিসেবেও এই ক্যাম্পাসকে বেছে নেন অনেকে।
কয়েক দিন ধরে ক্যাম্পাসকে বহিরাগত ব্যক্তি ও গাড়িমুক্ত করতে বিশেষ অভিযান চালানো হচ্ছে। এসব অভিযানে বেশ কয়েকটি গাড়ির মালিককে জরিমানাও করা হয়েছে। অভিযানের ফলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বহিরাগত ব্যক্তি ও যানবাহনের আনাগোনা কিছুটা কমেছে৷ ক্যাম্পাসের সড়কে ভারী যানবাহনের চলাচল ও বহিরাগত নিয়ন্ত্রণে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম ও পুলিশের সহযোগিতায় শিক্ষার্থীদের একটি অংশও নিয়মিত অভিযান করছে৷ ক্যাম্পাসের টিএসসি এলাকার পাশে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ফটকের ভাসমান দোকানগুলোও উচ্ছেদ করা হয়েছে৷
অভিযানের বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানী প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে, ক্যাম্পাস ছোট হয়ে গেছে৷
নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে শিক্ষার্থীরা প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে, নিজেরা পথে নেমে যাচ্ছে৷ ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা যদি নিরাপদে হাঁটতে-চলতে না পারে এবং শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ না থাকে, তাহলে জাতির বড় ক্ষতি৷
এই জায়গাটায় আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি৷ নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিতের জন্যই আমরা কাজ করছি৷’