নুসরাত ফারিয়া কি আসলেই ভাগ্যবান

নুসরাত ফারিয়া কি আসলেই ভাগ্যবান

Spread the love

কি এক অসাধারণ ভ্রমণ! আমি ভাগ্যবান, সম্মানিত এবং খুশি। চলচ্চিত্রে আমার চরিত্র ‘শেখ হাসিনা’র শুটিং শেষ করলাম। এই শুটিংয়ের প্রতিটা মুহূর্ত আমার পরবর্তী জীবনকে সমৃদ্ধ করবে।’ ‘বঙ্গবন্ধু’ সিনেমায় নিজের অংশের শুটিং শেষে এভাবেই খবরটি সবাইকে জানালেন নুসরাত ফারিয়া, নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে। তিনি কি সত্যিই ভাগ্যবান?

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী নিয়ে তৈরি চলচ্চিত্র ‘বঙ্গবন্ধু’তে শেখ হাসিনার চরিত্রে অভিনয় করেছেন নুসরাত ফারিয়া। ২০১৯ সালের শেষ দিকে এই চলচ্চিত্রে যুক্ত হন তিনি।২০২১ সালে সেটা শেষ হয়। ছবিতে ১৮ থেকে ২৯ বছর বয়সী শেখ হাসিনার চরিত্রে অভিনয় করেছেন ফারিয়া। শুটিংয়ের রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা জানিয়ে ফারিয়া বলেন, ‘প্রথম দিন থেকেই শুটিং সেটে আমাকে “হাসিনা” বলে ডাকা হতো। সেটে প্রথম প্রথম এই নামে আমাকে কেউ কেউ ডাকলেই চমকে উঠতাম। একটা পর্যায়ে আমার নাম যে ফারিয়া, সেটা যেন ভুলেই গেলাম। শুটিংয়ের পুরো দিনগুলোতে হাসিনা হয়ে গেলাম। এই নামের অনুভূতি যেমন গর্বের তেমন ভয়েরও।

শেখ হাসিনার চরিত্রে অভিনয় করেছেন নুসরাত ফারিয়া।

ভারতের প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক শ্যাম বেনেগাল বানাচ্ছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বায়োপিক ‘বঙ্গবন্ধু’। এর আগে তিনি মহাত্মা গান্ধী, জহুরলাল নেহেরু, সত্যজিৎ রায়ের মতো বিখ্যাত ব্যক্তিদের নিয়ে তথ্যচিত্র নির্মাণ করেছেন। নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুকে নিয়ে নির্মাণ করেছেন পূর্ণদৈর্ঘ্য ছবি ‘বোস: দ্য ফরগটেন হিরো’। বঙ্গবন্ধুর জীবনীচিত্রে বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করছেন আরিফিন শুভ। বঙ্গবন্ধুর মা শেখ সায়েরা খাতুনের চরিত্রে দিলারা জামান এবং হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী চরিত্রে দেখা যাবে তৌকির আহমেদকে।

নুসরাত ফারিয়া বলেন, ‘এমন একটি ছবিতে কাজের সুযোগ পাওয়ায় আমি যে কত খুশি, কত যে আনন্দিত, বলে বোঝাতে পারব না। কিছু কিছু অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা যায় না।’ শুটিং সেট থেকে শুরু করে কাজ, সবখানে যত্নের ছাপ দেখে অভিভূত ফারিয়া। তিনি বলেন,’শ্যাম বেনেগাল থেকে শুরু করে ইউনিটের সবাই শিল্পীদের জন্য যেন আশীর্বাদ। শিল্পীদের সংলাপ, দৃশ্য ধারণের সময় এত সুন্দর, এত অমায়িকভাবে সহযোগিতা করেন সবাই, সেটা অবিশ্বাস্য। প্রতিটি দৃশ্য করার আগে ক্যামেরাসহ অন্তত দশবার অনুশীলন করা হয়। এরপরে চূড়ান্ত দৃশ্যে যাওয়া হয়। ফলে সেটে গিয়ে আমাদের ভুল করার কোনো অপশন ছিল না।’