করোনার সংক্রমণে গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে আজ বুধবার সকাল ৮টা) দেশে আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় নতুন করে ২৭৭ জনের করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। আগের দিনের তুলনায় করোনায় মৃত্যু বাড়লেও শনাক্তের সংখ্যা কমেছে।
আজ বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। আগের দিন করোনায় ৫ জনের মৃত্যু এবং ২৯১ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছিল।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ২০ হাজার ৫৪৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ১ দশমিক ৩৫। আগের দিন এ হার ছিল ১ দশমিক ৪৫।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে চারজন পুরুষ ও দুজন নারী। তাঁদের মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকা বিভাগে। চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও সিলেট বিভাগে একজন করে মৃত্যু হয়।
গত বছরের মার্চে দেশে প্রথম করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। এর পর থেকে এখন পর্যন্ত দেশে মোট করোনা শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১৫ লাখ ৭৮ হাজার ২৮৮। তাঁদের মধ্যে মারা গেছেন ২৮ হাজার ১৬ জন, সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৪৩ হাজার ২০৪ জন। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ২৯৬ জন সুস্থ হয়েছেন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে প্রথম করোনার সংক্রমণ দেখা দেয়। কয়েক মাসের মধ্যে এ ভাইরাস বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশে প্রথম করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। প্রথম মৃত্যুর খবর জানানো হয় একই বছরের ১৮ মার্চ।
এরপর বিভিন্ন সময় করোনার সংক্রমণ কমবেশি হয়েছে। তবে চলতি বছরের মে মাসের শেষের দিকে দেশে করোনার ডেলটা ধরনের দাপটে পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকে। গত আগস্টের প্রথম দিকে করোনার গণটিকা দেওয়া শুরু হয়। এরপর সংক্রমণ ও মৃত্যু উভয়ই কমতে শুরু করে।
এদিকে সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত হওয়া করোনার নতুন ধরন অমিক্রন নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনার এ ধরন আগের সব ধরনের চেয়ে বেশি সংক্রামক হতে পারে। তা ছাড়া এখন পর্যন্ত উদ্ভাবিত করোনার টিকাগুলো করোনার এ ধরন মোকাবিলায় কার্যকর না-ও হতে পারে। এ পরিস্থিতিতে আফ্রিকা থেকে আসা ব্যক্তিদের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিন নিশ্চিতের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।