ওয়েডের ব্যাটে পাকিস্তানের হৃদয় ভাঙল অস্ট্রেলিয়া

ওয়েডের ব্যাটে পাকিস্তানের হৃদয় ভাঙল অস্ট্রেলিয়া

Spread the love

ডেভিড ওয়ার্নার বড় একটা ভুলই করে বসেছিলেন। শাদাব খানের অফ স্টাম্পের বাইরে পড়া বলটি স্টিয়ার করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেটি চলে যায় উইকেটকিপার মোহাম্মদ রিজওয়ানের হাতে। আবেদনে সারাও দিলেন আম্পায়ার। কিন্তু ওয়ার্নারও রিভিউ না দিয়ে হাঁটা দিয়েছিলেন। পরে টিভি রিপ্লেতে দেখা গেল বল ওয়ার্নারের ব্যাটেই লাগেনি।

এমন একটা ভুলের পর পথ হারিয়ে বসেছিল অস্ট্রেলিয়া।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত মার্কাস স্টয়নিস আর ম্যাথু ওয়েডের কার্যকর এক জুটিতে পাকিস্তানের হৃদয় ভেঙেছে অস্ট্রেলিয়া।
পাকিস্তানের ১৭৬ রানের বড় সংগ্রহ অসম্ভব দৃঢ়তায় পেরিয়ে গেছে তারা।
ওয়েডের ব্যাট থেকে এসেছে অবিশ্বাস্য এক ইনিংস—১৭ বলে ৪১ রানের।
৫ উইকেটের জয় নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে তারা।

ম্যাথু ওয়েডের ১৭ বলে ৪১ রানের ইনিংসটিই মূলত অস্ট্রেলিয়াকে এনে দিয়েছে অসাধারণ এই জয়।
শাহিন শাহ আফ্রিদির করা ১৯তম ওভারে ওয়েড তিনটি ছক্কা মারলেন।
ম্যাচ এখানেই শেষ। শুধু তা-ই নয়, হারিস রউফের করা ১৮তম ওভারে অস্ট্রেলিয়া নিয়েছে ১৫ আর হাসান আলীর ১৭তম ওভারে ১৩।
যে বোলিং আক্রমণের ওপর পাকিস্তানের এত আস্থা।
শেষ পর্যন্ত সেই বোলিংই ডুবিয়েছে পাকিস্তানকে।

ওয়েডের সঙ্গে ছিলেন মার্কাস স্টয়নিস। এ দুজন দলের বিপর্যস্তকর পরিস্থিতির মধ্যেও ৪১ বলে ৮১ রানের জুটি গড়েছেন।
স্টয়নিস করেছেন ৩০ বলে ৪১।
জীবনের সেরা টি-টোয়েন্টি ইনিংসটিই খেললেন ওয়েড।
স্ট্রাইকরেট ছিল ২৪১.১৮।
এমন স্ট্রাইকরেট আর কখনোই দেখা যায়নি অস্ট্রেলিয়ার এই উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যানের ব্যাটে।

গতকালকের ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার প্রথম সেমিফাইনালের সঙ্গে আজকের ম্যাচের আছে অদ্ভুত মিল। গতকাল নিউজিল্যান্ড একপর্যায়ে হার দেখছিল নিজেদের। কিন্তু জিমি নিশাম নেমেই উল্টে দিয়েছিলেন পাশার দান। আজ ১৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলে যখন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ফিরলেন, তার একটু আগে রিভিউ না নিয়ে ফিরলেন ডেভিড ওয়ার্নার। লেগ স্পিনার শাদাব খানের ঘূর্ণিতে দিশেহারা দেখাচ্ছিল অস্ট্রেলিয়াকে, তখন কে ভেবেছিল ম্যাথু ওয়েড জিমি নিশামের ভূমিকায় থাকবেন। এমনিতেই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে মেরে খেলা ব্যাটসম্যান হিসেবে খুব একটা সুনাম নেই ওয়েডের। কিন্তু সেই ওয়েডই আজ ভূমিকা নিলেন ফিনিশারের! নিজের ইনিংসে ২টি চার মেরেছেন তিনি। কিন্তু চারটি ছক্কাই তো অস্ট্রেলিয়াকে এনে দিয়েছেন জয়। কালকের মতো আজও কঠিন লক্ষ্যও বিজয়ী দল পেরিয়ে গেছে এক ওভার বাকি থাকতেই।